রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ডহরগাওয়ে আলেম-ওলামা, মাশায়েক ও সমাজবাসীর উদ্যোগে গান-বাজনা, নৃত্য ও মাদক সেবনসহ সকল অপকর্ম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ডহরগাও গ্রামের সমাজসেবক জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক মসজিদের নামে ওযাকফ করা পতিত জমিতে আয়োজন করা গান বাজনার নিষিদ্ধ মঞ্চ ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেয় ওলামা মাশায়েকসহ স্থানীয় জনতা।
ওই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- মুফতি নুরুল হক ডহরী, মুফতি ইমদাদুল্লাহ হাশেমী, মুফতি ইয়ার মুহাম্মদ, মাওলানা মাহবুব আলম, মোবারক হোসেন, জাকির হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ, হাফেজ অলিউল্লাহ, এডভোকেট শাহাবুদ্দিন, আল মামুন, কাইয়ুম, খলিলুর রহমান, আমান উল্লাহ, নয়ন মেম্বার, জুলহাস, বাদল মাষ্টার, শহিদুল্লাহ, আঃ রহমান, কুদরত আলী, মুহাম্মদ আলী, হাজী জামাল, আক্কাস আলী, আতাবর, সৈকত আলী, চান মিয়া, জজ মিয়া, আবু সাঈদ, হাসু মিয়া সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ।
সভায় বক্তারা বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাও গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলী ভুইয়া ১৯৯৭ সালের ২২ এপ্রিল মাদরাসা নির্মাণের জন্য ১৫ শতাংশ জমি ওয়াকফার মাধ্যমে দান করেন।
মাদরাসার নামে দেয়া জমিটি পতিত পড়ে থাকার কারণে এলাকার বখাটে কিছু লোক ওই স্থানে গান-বাজনা ও অসামাজিক কাজকর্ম পরিচালনা করে আসছিল। বহুবার নিষেধ করার পরও অব্যাহত ছিল। পরে গত রবিবার বিকেলে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের দাওয়াত ও তাবলীগের কিছু আলেম-ওলামা ব্যক্তি গান-বাদ্য বন্ধে বাধা দেন।
পরে ২ শতাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে ওঠান বৈঠকের আয়োজন করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত লোকজন ডহরগাও এলাকায় গান-বাদ্যসহ সকল অপকর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
সেই সাথে ওয়াকফাকৃত জমিতে মাদরাসা নির্মাণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তাছাড়া কোনো ব্যক্তি ডহরগাও এলাকায় গান-বাদ্যের আয়োজন ও মাদক সেবন করলে তাদের পিটিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন