সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বড় সৈদেরগাঁও গ্রামে বসতঘরে অঞ্জাতনানা দুস্কৃতিকারীদের উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া হাফিজ সৈয়দ মাহমুদুল হোসেন(ওরফে আব্দুল হান্নান পীর রহ:) এর খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে এলাকাবাসির আয়োজনে উপজেলার ধারনবাজারের সিলেট সুনামগঞ্জ রোডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হাফিজ মামহুদ আলীর সভাপতিত্বে ও ইমাম উদ্দীন মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন। এ সময় এরাব বক্তব্য রাখেন, জাউয়া ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মাহমুদ আলী,সৎপুর মাদ্রাসার প্রধান মযহাদ্দিছ মাওলানা আব্দুল বাছিত,বিশিষ্ঠ সংগঠক মাওলানা আকবর আলী,শাপলা যুবসংঘের সাধারন সম্পাদক মজমুল হক,শাহমীর আহমদ,বিএনপি নেতা আব্দুল হাই লিপু,জামেয়া মারকাজুল উলুম বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষ কেএম ছালেহ আহমদ,নিহতের আপন ভাতিজা সৈয়দ আশরাফুল হোসেন,জামেয়া মুহাম্মদীয়া ভূইগাঁও মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন,আইন উদ্দিন সালমান,ধারন জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মনোয়ার হোসেন নাঈম,সেওতরপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালিক,শৈসাপুর মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহমান,নতুন বাজার দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার আব্দুল মতিন আজাদ,শিক্ষক মেহদী হাসান,আবুল মনসুর,ধারন বাজারের ডাক্তার আছকির আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,কোন এক অদৃশ্য কারনে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ৮ টা ১০ মিনিট হতে সাড়ে ৮টার মধ্যে অঘ্যাতনামা দুস্কৃতিকারীরা হাফিজ সৈয়দ মাহমুদুল হোসেন(ওরফে আব্দুল হান্নান পীর রহ:) এর বসতঘরে ঢুকে দারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
ধারন বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি পার্শবর্তী কাকুরা গ্রামের আলহাজ্ব শামসুল ইসলাম তার মেয়ে ও পুত্রবধু নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসে দরজায় পড়ে থাকা হাফিজ সাহেবকে দেখে পাশে থাকা লোকজনকে ডাক দিলে তারা এসে এ অবস্হায় দেখে বাড়ীতে খবর দেন। খবর শুনে স্বজনরা এসে দ্রæত তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
সকাল ৮.১০ মিনিট হতে সাড়ে আটটার ভিতরে অঞ্জাতনামা দুষ্কৃতকারীর চুরিকাঘাতে তিনি নিহত হন। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবর রাতে নিহতের ভাতিজা সৈয়দ জুমেল হোসেন বাদি হয়ে দেওয়ানী মামলায় বিবাদী পক্ষের ৪ জনের নাম সন্দেহভাজন অবস্থায় উল্লেখ করে অঞ্জাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কিন্ত নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের একবছর পেরিয়ে গেলে ও কোন অপশক্তির থাবার কারনে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামী সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন মানববন্ধনের বক্তারা। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি সুনামগঞ্জের তদন্তাধীন আছে।
বক্তারা অবিলম্বে নিহত হাফিজ সৈয়দ মাহমুদুল হোসেন(ওরফে আব্দুল হান্নান পীর রহ:) এর সকল খুনীদের দ্রুুত চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি কার্যকর করতে বর্তমান সরকার ও সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ও হুশিয়ারী উচ্ছারণ করে বক্তারা।
মন্তব্য করুন